উচ্চ আদালতের রায় ঘোষনার পরেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে পুলিশ আধিকারিকরা

19th October 2020 8:41 pm হুগলী
উচ্চ আদালতের রায় ঘোষনার পরেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে পুলিশ আধিকারিকরা


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : কোন দর্শক পুজো মন্ডপে প্রবেশ করতে পারবে না ।  পুজো নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ এর পরেই তড়িঘড়ি বৈঠক করলেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট।সোমবার সন্ধ্যায় চুঁচুড়া কমিশনার অফিসের কনফারেন্স হলে বৈঠকে সিপি হুমায়ূন কবির ডিসি সদর সুব্রত গাঙ্গুলী ডিসি চন্দননগর, তথাগত বসু ডিসি, শ্রীরামপুরের এসিপি ঈশানী পাল, থানার আইসিরা উপস্থিত ছিলেন।পুজো প্যান্ডেলে দর্শনার্থীরা ঢুকতে না পারলে রাস্তায় ভীড় উপচে পরবে সেই সব বিষয় নিয়েও আলোচনা হয় । কারন বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসবে ঘর বন্দী থাকবে না মানুষ। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সবকিছু করা হবে বলে জানান পুলিশ কর্তারা।ভীড় সামলাতে অতিরিক্ত পুলিশ ও অস্থায়ী হোমগার্ড নেওয়া হয়েছে পূজোর জন্য। পুলিশ নিজেই দর্শনার্থীদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিলি করবে বলে জানান ডিসি সুব্রত গাঙ্গুলী। কোভিড বিধি অনুযায়ী সোশ্যাল ডিসটেন্সিং এতদিন যে ভাবে মানা হয়েছে পুজোর সময় মানা হবে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।